২১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১০ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
ইউক্রেনকে প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম সরবরাহ করার ঘোষণা দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) লিখিত বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন। তবে বক্তৃতায় সরঞ্জামগুলো কী হবে তার বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়নি।
ম্যাক্রো বলেন, ইউক্রেনকে আরও ৩০০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা প্রদান করা হবে এবং তাদের প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম সরবরাহ করা হবে।
ফ্রান্স এর আগে ইউক্রেনকে কোনো অস্ত্র না দিলেও মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লোদোমির জেলেনস্কি দেশটির নাগরিকদের রাশিয়ান সৈন্যদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে ইউক্রেনের আকাশে ‘নো-ফ্লাই জোন’ তৈরির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেছেন, ইউক্রেন যেহেতু ন্যাটোর সদস্য দেশ নয়, তাই এটা করা সম্ভব নয়।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, একটি ‘নো-ফ্লাই জোন’ করতে হলে ব্রিটিশ যুদ্ধবিমানকে সরাসরি রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের বিপক্ষে পাঠাতে হবে। ফলে রাশিয়ার বিপক্ষে ন্যাটোকে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। সেটা (নো-ফ্লাই জোন) করা হলে এটাই ঘটবে।
ওয়ালেস বলেন, আমি একটি ইউরোপিয়ান যুদ্ধ শুরু করে দিতে চাই না। কিন্তু ইউক্রেনকে লড়াই করার জন্য যত রকমের সহায়তা দেওয়া দরকার, তা আমি দিয়ে যাব।
ইউক্রেনকে ন্যাটোতে নেওয়ার ব্যাপারে ২০০৮ সাল থেকে ব্রিটেন সমর্থন করে আসলেও, অন্য দেশগুলো চায়নি তারা এই জোটে আসুক, বলেন তিনি।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে বিচারশক্তি সম্পন্ন ব্যক্তি নন দাবি করে তিনি বলেন, ইউক্রেনের পরেই হয়তো রাশিয়া থামবে না। বাল্টিক দেশগুলো যে একেকটি আলাদা দেশ, তা তিনি বিশ্বাস করেন না। তার বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে দাঁড়াতে হবে।
এদিকে পুতিনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার অনুরোধ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লোদিমির জেলেনিস্ক। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, রুশ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টকে আমি বলতে চাই—ইউক্রেনের সর্বত্র লড়াই চলছে, সাধারণের মানুষের মৃত্যু বন্ধে চলুন আমরা আলোচনায় বসি।